• Tue, ১৮ Mar ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]

এমসি ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের গণধর্ষণ: বিচার চলবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

স্টাফ রিপোর্টার
আপডেট : সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার : বহুল আলোচিত সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ২০২০ সালে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কর্তৃক এক তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনার দুটি মামলায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা বদলি করতে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।সোমবার রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ খারিজ করে আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ওমর ফারুক, এম আব্দুল কাইয়ূম ও কামরুন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।

এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় দুই অভিযোগের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালেই চলবে জানিয়ে আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন জানান, মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর চেয়ে রিট করেছিলেন ভিকটিমের স্বামী। ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল মঞ্জুর করে ৩০ দিনের মধ্যে বদলির গেজেট জারি করতে নির্দেশ দেন। তৎকালীন রাষ্ট্রপক্ষ বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল যাতে মামলাটা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে না যায়। আজকে প্রায় দুই বছর পরে মামলাটার শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষ নিজেদের আপিল প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর মাধ্যমে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকলো। এখন এই বিচার কাজ দ্রুততার সঙ্গে ত্বরান্বিত হবে এবং যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত হবে বলে আশা করি। মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ স্টেজে ছিল। তারপর এটি আর আগায়নি।

জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। এ মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী।

অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম। এছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা আদালতে পৃথক চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে বাদীপক্ষ হাইকোর্টে আসলে দুটি মামলা এক আদালতে চলবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০২২ সালের ১১ মে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন আদালত।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে ধর্ষণ মামলায় এবং চাঁদাবাজির মামলায় ২০২২ সালের মে মাসে অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। এ কারণে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার চেয়ে মামলার বাদী ওই তরুণীর স্বামী হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানি শেষে ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে ৩০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির জন্য গেজেট জারি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল।


বিভাগের আরোও সংবাদ