ধুমপানের ধোঁয়া ছাড়া নিয়ে দুই পক্ষের মারামারির জের ধরে ওসমানী হাসপাতালে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৪ মার্চ ) রাত পৌনে ১০টার দিকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ৩জনকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো-জকিগঞ্জ উপজেলার শাহজালালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে বর্তমানে নগরীর মীরবক্সটুলা ভাই ভাই রেস্টুরেন্টের কর্মচারি গিয়াস উদ্দিন রানা, তার সহোদর মোস্তাক হোসেন ও একই রেস্তোরার কর্মচারি জকিগঞ্জের আব্দুল আহাদের ছেলে আব্দুর রহিম (২২)।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার রাত ৮টার দিকে নগরের মীরবক্সটুলায় দোকানে বসে চা পান করছিলেন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের দুই ব্রাদার্স। পাশেই সিগারেট খেয়ে ধোয়া ছাড়ছিল স্থানীয় রেষ্টুরেন্টের কয়েকজন স্টাফ। সিগারেটের ধোয়া ছাড়তে নিষেধ করা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৬জন আহত হন। চিকিৎসা নিতে আহতের দুই পক্ষ ওসমানী হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে গেলে সেখানেও উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় চিকিৎসা সেবার দায়িত্ব পালনরত নার্স ও ব্রাদার্সরা আহত হন। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যাওয়া পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ৩ জনকে আটক করে ।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার ওসি জিয়াউল হক বলেন, একতরফা হামলার ঘটনা ঘটেনি। প্রথমে চৌহাট্টায় সিগারেটের ধোঁয়া নিয়ে রেষ্টুরেন্ট কর্মচারী ও হাসপাতালের ব্রাদার্সদের মাঝে মারামারি হয়। উভয় পক্ষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও মারামারিতে লিপ্ত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩জনকে আটক করেছে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এসএমপির মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দুই পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়। চৌহাট্টার মারামারি একপর্যায়ে হাসপাতালেও বিস্তৃত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ৩ জনকে আটকের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।