• Mon, ১৭ Mar ২০২৫, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
জুনায়েদের নেতৃত্বে আসছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নতুন প্ল্যাটফর্ম স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের সব গুম-খুনের বিচার হবে: তারেক রহমান শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৪ জন নিহত আছিয়ার পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন; ট্রাম্পকে ‘না’ বলে দিলো আফ্রিকার ২ দেশ গার্মেন্টসে ডাকাতির ঘটনায় বিএনপি নেতার ব্যক্তিগত গাড়িচালক গ্রেফতার ইউক্রেনের সেনারা আত্মসমর্পণ করলে প্রাণভিক্ষা পাবেন: রুশ প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনে নিহত ২৩ কিশোরী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের মানববন্ধন র‌্যাবের হাতে ১শ কেজি গাঁজা উদ্ধার : আটক ৩

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ইফতার

স্টাফ রিপোর্টার
আপডেট : শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

মাদারীপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ইফতার করেছেন। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি কী করে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে বসে ইফতার করে জনমনে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

পলাতক আসামি প্রকাশ্যে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সামনের কাতারে অংশগ্রহণে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপি নেতা সাঈদ হাওলাদারের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও ইফতারের আয়োজন করে সাঈদ হাওলাদার ফাউন্ডেশন। এ আয়োজনের মূল ভূমিকা পালন করেন সাঈদ হাওলাদারের চাচাতো ভাই বিএনপি নেতা ও ঠিকাদার লাভলু হাওলাদার।

জানা যায়, এ অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে দেখা গেছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রোমান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৮নং আসামি আল আমিন চৌকিদারকে। তিনি নতুন শহরের বাসিন্দা শাহআলম চৌকিদারের ছেলে।

এ ইফতার ও দোয়া মাহফিলে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করেন। এ ধরনের একটি অনুষ্ঠানে আল আমিনের অংশগ্রহণের বিষয়টি জানাজানি হলে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন ওঠে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি কী করে একত্রে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।

পুলিশের খাতায় পলাতক আসামি কিভাবে নিজের উপস্থিতি জানান দেন। তাহলে কী বৈষম্য বিরোধী হত্যার আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশেরও গড়িমসি আছে নাকি, বিএনপি নেতারা ও আওয়ামী দোসররা মিলেমিশে থাকার চেষ্টা করছেন কিনা- এমন অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে আল আমিন প্রকাশ্যে এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজক লাভলু হাওলাদার বলেন, আল আমিন আমার গ্রামের বাড়ির পড়শি। সে হিসেবে আমার চাচাতো ভাই। তবে তাকে আমরা দাওয়াত দেই নাই। সে কেন এসেছে তাও আমি জানি না। কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক পলাশ হাওলাদারকে দাওয়াতের দায়িত্ব দিয়ে ছিলাম। তিনি লোকজন দিয়ে দাওয়াত দিয়েছেন। লাভলু আরও বলেন, আল আমিন মূলত বিএনপি করে। ভিলেজ পলিটিক্সের কারণে আল আমিন রোমান হত্যা মামলার আসামি হয়েছে। এটা খোঁজ নিলেই জানা যাবে।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান বলেন, দলের কেউ যদি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামিকে প্রশ্রয় দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইফতার পার্টিতে আমি ছিলাম। তবে আল আমিনকে আমি চিনি না। সে যদি হত্যা মামলার আসামি হয় তাহলে সে কিভাবে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল আমি জানি না। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করব বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামিদের যেন দ্রুত গ্রেফতার করে।

মাদারীপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বয়ক মো. নেয়ামতউল্লাহ বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি বা ছাত্রলীগ বা আওয়ামী দোসরদের যারা দাওয়াত দেবে বা তাদের নিয়ে অনুষ্ঠান করবে তারা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষের লোক। তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।

সদর মডেল থানার ওসি মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলার আসামিদের ধরার জন্য চেষ্টা করছি। রোমান হত্যা মামলার আসামি কিভাবে এ ধরনের একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করল বুঝতে পারছি না। তবে আল আমিনসহ অন্যান্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।


বিভাগের আরোও সংবাদ