• Tue, ১৮ Mar ২০২৫, ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

পাকিস্তানের হঠকারিতার কারণে ২১৪ জন পণবন্দি সেনাকে খুন করা হয়েছে, বিএলএর নয়া বিবৃতি

স্টাফ রিপোর্টার
আপডেট : শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দাবি প্রত্যাখ্যান করে জাফার এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের নেপথ্যে থাকা বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নতুন বিবৃতি পেশ করেছে। তারা জানিয়েছে, বেলুচ রাজনৈতিক বন্দীদের বিনিময়ের জন্য ৪৮ ঘন্টার সময়সীমা শুক্রবার শেষ হওয়ার পরে তারা ২১৪ জন পণবন্দি সেনাকে খুন করেছে। বেলুচ লিবারেশন আর্মি বলেছে যে, পাক সরকার ‘হঠকারিতা’ দেখিয়ে তাদের আল্টিমেটাম না মানায় পণবন্দিদের হত্যা করতে তারা বাধ্য হয়েছে।

এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘বেলুচ লিবারেশন আর্মি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে যুদ্ধবন্দীদের বিনিময়ের জন্য ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছিল, যা পণবন্দি সেনাদের জীবন বাঁচানোর শেষ সুযোগ ছিল। পাকিস্তান তার চিরাচরিত হঠকারিতা এবং সামরিক ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করে শুধুমাত্র গুরুতর আলোচনাই এড়ায়নি বরং বাস্তবতার প্রতিও চোখ বন্ধ করে রেখেছে। এই হঠকারিতার ফলস্বরূপ, ২১৪ জন জিম্মিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’

বিদ্রোহী গোষ্ঠী দাবি করেছে যে তারা সর্বদা আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করেছে, কিন্তু পাকিস্তানের আলোচনায় অস্বীকৃতি তাদের এই কাজ করতে বাধ্য করেছে। জঙ্গিরা গত মঙ্গলবার বেলুচিস্তানের একটি দূরবর্তী পর্বত গিরিপথে জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করে, রেললাইন উড়িয়ে দেয় এবং উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে যাত্রীদের পণবন্দি করে।

সেনা মুখপাত্র আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, পাক সৈন্যরা ৩৩ জন বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে, ৩৫৪ জন পণবন্দিকে উদ্ধার করেছে। তিনি আরও বলেছিলেন যে, বিএলএ অতিরিক্ত কাউকে পণবন্দি করে রেখেছে এমন কোনও প্রমাণ নেই। সেদিনের ঘটনায়  তিন রেল কর্মকর্তা, পাঁচ যাত্রী-সহ ২৩ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। সেনাবাহিনীর বিবৃতির পরেই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে যে তারা তাদের হেফাজতে থাকা সমস্ত পণবন্দিদেরই  হত্যা করেছে।

পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বিএলএর বিরুদ্ধে অতীতেও অতিরঞ্জিত করে বিবৃতি পেশ করার অভিযোগ তুলেছে। বিএলএ হলো সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে শক্তিশালী বেলুচ বিদ্রোহী গোষ্ঠী, বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য কয়েক দশক ধরে লড়াই করছে তারা। প্রদেশটি খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। এখানে চীনের একাধিক প্রকল্প রয়েছে, যার মধ্যে একটি বন্দর এবং স্বর্ণ ও তামার খনি রয়েছে। বেলুচিস্তান প্রদেশটি সবচেয়ে অনুন্নত এবং দারিদ্র্যপীড়িত। বেলুচরা অভিযোগ করেছে, যে তাদের সম্পদ পাঞ্জাব এবং সিন্ধুর ধনী রাজ্যগুলোতে উন্নয়নকে নিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে ইসলামাবাদ বেলুচিস্তানের উন্নয়নকে অবহেলা করছে।

সূত্র : ফার্স্টপোস্ট


বিভাগের আরোও সংবাদ