• Mon, ১৭ Mar ২০২৫, ১১:২৬ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]

মিয়ানমারের ১০ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা কমাচ্ছে জাতিসংঘ

স্টাফ রিপোর্টার
আপডেট : শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

গুরুতর তহবিল ঘাটতির কারণে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ মিয়ানমারের ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখেরও  বেশি মানুষ খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়বে। জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা একথা জানিয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির ( ডব্লিউএফপি ) একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে মিয়ানমারে বর্তমানে বিতরণ করা বেশিরভাগ খাদ্য-রেশন এপ্রিল থেকে বন্ধ করা হবে। বিশেষ করে দেশটি যখন সামরিক সরকার এবং তার শাসনের বিরোধিতাকারী শক্তিশালী মিলিশিয়াদের মধ্যে তিক্ত লড়াইয়ের কারণে মানবিক সংকটের মুখোমুখি, তখন জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সে দেশে কার্যত দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

ডব্লিউএফপি বলেছে যে মিয়ানমারে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখতে ৬০ মিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে এবং অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহ  করার জন্য তার অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এটা এখনো  স্পষ্ট নয় যে ডব্লিউএফপি-এর সিদ্ধান্তটি ট্রাম্প প্রশাসনের বেশিরভাগ বিদেশি সাহায্য বন্ধ করার সাম্প্রতিক পদক্ষেপের সাথে  এবং ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টকে ভেঙে ফেলার সাথে সরাসরি সম্পর্কিত কিনা। বিষয়টি ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে মানবিক প্রচেষ্টার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিকের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন  মিয়ানমারের তহবিল কাটছাঁটের পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে কিনা। তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সবটাই একে ওপরের সঙ্গে যুক্ত। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির  একটি  বড় তহবিল দাতা বলেও উল্লেখ করেছেন। ডুজারিক বলেন  যে , ক্ষয়ক্ষতির  হিসেব বর্ণনা করতে  জাতিসংঘের সমস্ত সংস্থা সক্রিয়ভাবে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সাথে সম্পৃক্ত’।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত বিদেশি সহায়তা কর্মসূচিতে ৯০-দিনের স্থগিতাদেশের ফলে মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের জন্য পরিষেবায় বিভিন্ন  কাটছাঁট হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের শিবিরগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা  বন্ধ হওয়া, যেখানে এখন ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস করছে।  এশিয়া ভিত্তিক সাহায্য খাতের একজন সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  মিয়ানমারের খাদ্য নিরাপত্তা এবং জীবিকা খাতে একটি মূল অবদানকারী দেশ। গত বছরই  বড়সড় ঘাটতি দেখা গেছে ।  মানবিক সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের  মাত্র ৪০% সেখানে  পৌঁছেছিল।

সূত্র : এপি নিউজ


বিভাগের আরোও সংবাদ