প্রতীক্ষার প্রহর গোনা শেষ। ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তার সঙ্গী বুচ উইলমোরকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দিল ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের মহাকাশযান ক্রিউ-১০। নাসা এবং মাস্কের সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ক্রু-১০ মহাকাশযানের উৎক্ষেপণের কথা ছিল গত বৃহস্পতিবার। কিন্তু হাইড্রলিক সিস্টেমে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে শুক্রবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে তা উৎক্ষেপণ করা হল। সব ঠিক থাকলে বুধবার পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারেন সুনীতা ও ব্যারি।
আটকে পড়া দুই মহাকাশচারী প্রায় নয় মাস পর ফিরে আসবেন পৃথিবীতে। সুনীতাদের উদ্ধার করতে যাওয়া অভিযানে রয়েছেন নাসার মহাকাশচারী অ্যানি ম্যাকলেন, নিকোল এয়ারস, জাপানের মহাকাশচারী তাকুয়া ওনিসি, রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের কসমোনৌট পেসকভ। নতুন অভিযাত্রীরা শনিবার রাতের মধ্যে আইএসএসে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২৪ সালের জুন মাসে আট দিনের অভিযানে মহাকাশে রওনা দেন সুনীতা এবং ব্যারি। কিন্তু গোড়া থেকেই তাঁদের অভিযান ঘিরে একের পর এক বিপত্তি দেখা দেয়। যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে অভিযান পিছিয়ে যায় বার বার। উড়ানের পর মহাকাশযান থেকে তরল চুঁইয়ে পড়ার খবর আসে। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে মহাকাশযানটিকে নোঙর করানো গেলেও, ত্রুটি-বিচ্যুতি এড়ানো যায়নি। তাই ত্রুটিপূর্ণ মহাকাশযানে চাপিয়ে সুনীতা এবং ব্যারিকে ফেরানোর ঝুঁকি নেয়নি নাসা। মহাকাশযানটিকে পৃথক ভাবে ফিরিয়ে আনা হয় পৃথিবীতে। কিন্তু সুনীতা এবং ব্যারি আটকে পড়েন মহাকাশে। তাঁদের আট দিনের মহাকাশ সফর ন’মাসে দীর্ঘায়িত হয়েছে। তবে অবশেষে তাঁরা ফিরতে চলেছেন। সুনিতা উইলিয়ামস একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, আমরা প্রত্যেকের কাছ থেকে ভালবাসা এবং সমর্থনের প্রশংসা করি। এই মিশনটি একটু বাড়তি মনোযোগ পেয়েছে । এতে ভাল এবং খারাপ দু দিক রয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি ভাল অংশটি হল মহাকাশ অনুসন্ধানের পথে আমরা যা করছি তাতে আরও বেশি মানুষ আগ্রহী হয়েছে।’
সূত্র : ইকোনোমিক টাইমস